FROM NADIA, WEST BENGAL WITH LOVE.
(নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ-এর আঞ্চলিক ভাষায়)
II নিকালতি হুঁ তেরি মর্দানী II
আপিস থেকেন ফিচ্চি। তা আনধেরী ইস্টিশানে নেমিচি। ওকান থেকেন গোবিন্দপুরের টেরেন ধরবো।
কি ? আরে মীরা রোডের টেরেন রে বাবা। মাজখানে কতা কইবি না তো। ইনটিরিসটেট টা চলি যায়। তা পেলাটফরোমটা চেন কত্তি হবে। এট্টা চলমান সিরি আচে, তার পাশে এমনি সিরি। আমি বেতো ঘোরা, চলমান সিরির দিকিই পা বাইরেচি। ওমা, হটাত্ শুনি কাঁই কিচির। কি হলো ? জানিস তো বাঙালির কোতুহোল। ভীড়ের মাজে দেলেম উকি। দেকি এট্টা মেয়ে, ওই ধর, বিশ বচ্চরটাক হবে বয়েস, এট্টা ষন্ডা লোকের কলার ধরে টানতেচে। পাশের থেন কে এট্টা জিগিস কল্লো,
"কি হইয়েচে ?"
মেয়েটা বইললে,
"ষন্ডা গুন্ডা তার গায়ে হাত দেচে সিরির কাচে ভীড়ের সুযোগ নে।"
ওরে আমার মন তকন ফুরফুর ফুরফুর কত্তেচে। কতোদিন হাতের সুক হয়নে রে। আজ ষন্ডা হোক আর যে হোক, মার দিতিই হবে। ভীড় ঠেইলে এগুচ্চি। হাতা ফাতা গুট্টে। ওমা তার মইদ্যে ঐ ষন্ডার দুই বন্দু, বুইজলি, দু-দুটো জোয়ান মদ্দ এইসে মেয়েটাকেই গরম দেচ্চে। বলে কি, ভীড়ে লাগতিই পারে। আবার এট্টা ছেলে কি বাজে গাল ও দেল। এমন গলা চইরেচে তারা তিনজনা যেন মেইয়েটারই দোষ। বাকি লোকজন ভির কইরে দেকতেচে, আরে ছেলে মেয়ে পুরুষ লোক মইলে লোক সবাই, কারো মুকে রা নেই রে। আমি তো তেরেমেরে এগুচ্চি শালা যা থাকে কপালে।
বিশ্বেস করবেনে, আমি সে মেইয়ের পাঁচাহাতের মইদ্যে পৌছুইনি, তিন ষন্ডাকে এমন মার দেলো মেইয়েটা, মোরদানির রানী মুকুজ্জেকে বাচ্চা মনে হবে। তিনজনা সেই মার খেইয়ে, এমনি সিরি দে উপরের দিকে দে দৌড়। আর সে মেইয়ে ছুটেচে তাদের পিচনে। বলতেচে,
"মাদার**, রুক, নিকালতি হুঁ তেরি মর্দানী।"
আমার তকন হাততালি দে নাচতি ইচ্চা কত্তেচে। এই তো নারী। কি দিশ্য। এই তো চাই দেশে। অবলা ? দেক কেমন লাগে অবলার ঠ্যাঙানী। ওহ্ আনন্দির চোটে মীরা রোডে নেইমে সেলে দুটো কলার দেয়া গেনজি কিনি ফেইললাম।
লিখেছেনঃ
No comments:
Post a Comment