Friday, August 17, 2018

FROM MEHERPUR WITH LOVE.
(মেহেরপুর-এর আঞ্চলিক ভাষায়)


II ''৪২০ নম্বর বোতলের অষুদ'' সকল রোগের মহা-অষুদ II


মাউই বাড়ি থেকি কায়দা মতোন বসান দিয়ি নুরা পাগলা বিড়ি খাওয়ার নাম করি বাড়ি থেকি পালি যাচ্ছি। গিরাম পার হয়িই দেইরিপুর বাজার। সেকিনে এক হুমিও হলে দেখে লিখা আছে "একিনে ১০০% গ্যারান্টি সহকারে চিকিৎসা করা হয়, বিফলে ডাবল ট্যাকা ফেরত। ভিজিট ৩০০/- ট্যাকা।"
নুরা পাগলা ইবার মুনে মুনে শয়তানি বুদ্দি আটলু যে, এমুন রোগের কতা বুলবু, ডাক্তার অষুদ খুঁজি পাবেনা। দাড়া শালা ডাক্তারের ৬০০/- ট্যাঁকা বাগাবো। নুরা ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলু।


নুরা- দাক্তার সায়েব, আমি তো খুব বিপাদের মদ্দি আচি।
ডাঃ - বোলেন আপনার কি হয়িচে?
নুরা- দাক্তার সায়েব, খুউব সমেসসা আমার।
ডাঃ- আরে বুলবেন তো আপনার কি হয়িচে? (ধমক দিয়ি)
নুরা- মুকে আমার একদোম স্বাদ নেই, কি খাচি কিচ্চু বুজতি পাচ্চিনি। মাউই বাড়ি ঘি খালাম, না কি খালাম শাইন কত্তি পাচ্চিনি।
ডাঃ- কম্পাউনডার, ৪২০ নম্বর বোতলের অষুদডা উয়ির মুকে ২০ ফুটা দিয়ি দেও। (অসুদ দিয়া হলু)
নুরা- উয়াক থু, ছিঃ ছিঃ ছিঃ। দাক্তার আপনি এ কি খাওয়ালেন। এতো মুত।

ডাঃ- আপনার জিব ঠিক হয়ি গিচে, আর কুনু সমেসসা নেই। একুন থেকি সব কিচুর স্বাদ পাবেন। আমার ভিজিট ৩০০/- ট্যাকা দেন।
ইবার নুরা চালাকি ধরা খেয়ি ডাক্তারকে ৩০০/- ট্যাকা বের করি দিয়ি পস্তাতি পস্তাতি চোলি আসচি। আর নতুন ফন্দি আঁটছি যে কি করি এই ট্যাকা তুলবু।


ছ'মাস পর নুরা মুকে গোঁপ-দাড়ি বাদি নিয়ি আবার গিচে। মুনে মুনে শয়তানি বুদ্দি আটলু যে, এমুন রোগের কতা বুলবু, ডাক্তার অষুদ খুঁজি পাবেনা। দাড়া দেকচি ইবার।
নুরা- দাক্তার সায়েব, আমি তো খুব বিপাদের মদ্দি আচি।
ডাঃ - বোলেন আপনার কি হয়িচে?
নুরা- দাক্তার সায়েব, খুউব সমেসসা আমার।
ডাঃ- আরে বুলবেন তো আপনার কি হয়িচে?
নুরা- আমার সিরিতি শক্তি একেবারেই হারি গিচে। কিচ্চু মুনে থাকে না আমার। সকালে কি খায় দুপুরে মুনে থাকে না, আর দুপুরে কি খায় রাইতি মুনে থাকে না। কার কাচে ক' ট্যাকা পাব, তাও মনে কত্তি পাচ্চি নি। অষুদ দেন। (দি মুনে মুনে হাসচি)
ডাঃ- কম্পাউনডার, ৪২০ নম্বর বোতলের অসুদডা উয়ির মুকে ২০ ফুটা দিয়ি দেও।
(কম্পাউনডার যেই অষুদ বের কত্তি গিচে)
নুরা- দাক্তার সায়েব উতে তো মুত আচে, ছ'মাস আগে আমাকে খায়িলেন।

ডাঃ- এই তো আমার অষুদে কাজ হয়িচে। অষুদের কি গুণ দেকিচেন ! না খেতিই রোগ ভালো হয়ি গিচে। আপনি সিতি শক্তি ফিরি পেয়িচেন, দেন ৩০০/- ট্যাকা।
আবারো নুরা পাগলা ধরা খেয়ি ৩০০/- ট্যাকা বের করি দিয়ি বেরি চোলি এসি। এই ৬০০/- ট্যাকার দুক্কু আর সজ্যু কত্তি না পেরি খেজুর গাছের মাথায় উঠি দুই রাকাত নফল নামাজ পইড়ি এক নাপে আত্তহত্যা কইরি মইরি গেল।


ইখানেই নুরা পাগলার জীবনাবসান ঘটলু। 'ইটাখুলা এতিমখানা' নুরা'র নামে নামকরণ করা হলু ''নুরা মহেলা এতিমখানা", ইটাখুলা রোড, মেহেরপুর।



আর আমরা সজ্জ্যু কত্তি পাচ্চিনি। নুরা'র মিত্তুতে কৈতরী বুইন খুব শোকাহত, মর্মাহত ও বেদনাহত। কৈতরী বুইন আর কেন্দেন না, মানুষ তো আর সারাজীবন বাঁচেনাকো, নুরা পাগলাউ সেরাম। নোকটা কত ভাল ছেল, দাক্তার সায়েব আর কম্পাউনডার মিলি মেরি ফেললু নোকটাকে। আহা রে ! দাঁত থাকতি তো আর আমরা মরমো বুজিনি। আমাদের কৈতরী বুইনের একুন কি হবে গো? বুইন আমার বিধবা হয়ি গেলো গো ! যদিও শাকিল ভাই আচে। মোটেও টেনশোন ফেল করবা না কৈতরী বুইন। নুরা ভায়ির কাচে যে আদর ভালবাসা পেয়িচো, সেইসব শাকিল ভাই দিইতি পাইরবি তুমাকে। আল্লার উপার ভরসা রাখতি হবি।
নুরা মইরি গি আমাদের দগদিভাজাপুড়া জানডা বাচলু বাব্বাহহহ ! আসু সব্বাই নুরা পাগলার নেগি জামাতে দাড়ি দুয়া করি দিই। নুরা পাগলা আমাদের মনের ভেতর বেইচি থাইক যুগ যুগ ধইরি।


মূল লেখা লিখেছেনঃ
SI Babu, মেহেরপুর।


প্রাপ্ত মূল লেখার আংশিক সম্পাদনা শেষে আরো কিছু লেখা সংযোজন করা হয়েছে।
ছবি সংযোজিত
ছবিঃ গু গুলে পাওয়া

Tuesday, August 14, 2018


FROM NADIA, WEST BENGAL WITH LOVE.
(নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ-এর আঞ্চলিক ভাষায়)

II নিকালতি হুঁ তেরি মর্দানী II


আপিস থেকেন ফিচ্চি। তা আনধেরী ইস্টিশানে নেমিচি। ওকান থেকেন গোবিন্দপুরের টেরেন ধরবো।

কি ? আরে মীরা রোডের টেরেন রে বাবা। মাজখানে কতা কইবি না তো। ইনটিরিসটেট টা চলি যায়। তা পেলাটফরোমটা চেন কত্তি হবে। এট্টা চলমান সিরি আচে, তার পাশে এমনি সিরি। আমি বেতো ঘোরা, চলমান সিরির দিকিই পা বাইরেচি। ওমা, হটাত্ শুনি কাঁই কিচির। কি হলো ? জানিস তো বাঙালির কোতুহোল। ভীড়ের মাজে দেলেম উকি। দেকি এট্টা মেয়ে, ওই ধর, বিশ বচ্চরটাক হবে বয়েস, এট্টা ষন্ডা লোকের কলার ধরে টানতেচে। পাশের থেন কে এট্টা জিগিস কল্লো,
"কি হইয়েচে ?"

মেয়েটা বইললে,
"ষন্ডা গুন্ডা তার গায়ে হাত দেচে সিরির কাচে ভীড়ের সুযোগ নে।"


ওরে আমার মন তকন ফুরফুর ফুরফুর কত্তেচে। কতোদিন হাতের সুক হয়নে রে। আজ ষন্ডা হোক আর যে হোক, মার দিতিই হবে। ভীড় ঠেইলে এগুচ্চি। হাতা ফাতা গুট্টে। ওমা তার মইদ্যে ঐ ষন্ডার দুই বন্দু, বুইজলি, দু-দুটো জোয়ান মদ্দ এইসে মেয়েটাকেই গরম দেচ্চে। বলে কি, ভীড়ে লাগতিই পারে। আবার এট্টা ছেলে কি বাজে গাল ও দেল। এমন গলা চইরেচে তারা তিনজনা যেন মেইয়েটারই দোষ। বাকি লোকজন ভির কইরে দেকতেচে, আরে ছেলে মেয়ে পুরুষ লোক মইলে লোক সবাই, কারো মুকে রা নেই রে। আমি তো তেরেমেরে এগুচ্চি শালা যা থাকে কপালে। 

বিশ্বেস করবেনে, আমি সে মেইয়ের পাঁচাহাতের মইদ্যে পৌছুইনি, তিন ষন্ডাকে এমন মার দেলো মেইয়েটা, মোরদানির রানী মুকুজ্জেকে বাচ্চা মনে হবে। তিনজনা সেই মার খেইয়ে, এমনি সিরি দে উপরের দিকে দে দৌড়। আর সে মেইয়ে ছুটেচে তাদের পিচনে। বলতেচে,
"মাদার**, রুক, নিকালতি হুঁ তেরি মর্দানী।"

আমার তকন হাততালি দে নাচতি ইচ্চা কত্তেচে। এই তো নারী। কি দিশ্য। এই তো চাই দেশে। অবলা ? দেক কেমন লাগে অবলার ঠ্যাঙানী। ওহ্ আনন্দির চোটে মীরা রোডে নেইমে সেলে দুটো কলার দেয়া গেনজি কিনি ফেইললাম। 


লিখেছেনঃ
তন্ময় নাগ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।


আংশিক সম্পাদনা শেষে ছবি সংযোজিত

ছবিঃ গু গুলে পাওয়া

FROM NAOGAON WITH LOVE.
(নওগাঁ'র আঞ্চলিক ভাষায়)


মমতা দিদি এগল্লা দ্যেকা ভাবোচে আর মনে মনে কওচে,
"লেওদিনি, ওরকে দ্যাশের পানি থোয়ার জাগা নাই, আবার হামার দ্যাশের পানি লিবার আসোচে।"


 ছবিঃ গু গুলে পাওয়া

FROM RANGPUR WITH LOVE.
(রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায়)

II স্বপ্নে মোবাইল কোম্পানী'র এ্যাডভেটাইজ II 
 

 
প্রথথম পড়নু "গ্রামীণ ফোন"-এর পাল্লাত !

মোক কইল, ‘‘কাছে থাকুন”। গেনু উয়ার কাছোত। একনা পর ফির মোর হাত ধরি কইল, ‘‘চলো বহুদুর”! ‘গাইয়া ফোনের’ সাথোত ম্যালা দূর গেইতে গেইতে সইন্ধ্যা নাগি গেইল! চাইরো পাকোত আন্ধার দেখি মুই কনু, 'এ্যালা তো উজাল দরকার!'


এইবার সামনোত আসিল "রবি" ! আসিয়ায় কইল ও বাহে চাজি ‘‘জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে।” কনু মুই, 'নেজে হাতে ক্যামতন করি জ্বলিম ?! পাবার নাও, বেসম্ভব !'
এই নিয়া বাজি গেইল মোর আর রবির ক্যাচাল !


সুযুগ পায়া "বাংলা লিংক" আসি হাজির। ওয় আসি কইল,' “দিন বদলের চেষ্টায়” নাগি থাকো, বদল হইবেয়ে হইবে।' ম্যালাদিন নাগি থাকিয়াও যখন দিন বদলাওছে না, তক্ষন ফিরও ওমরা কইল, 'আগোত তো এই কাম করেন নাই, এ্যালা ‘‘নতুন কিছু করো।” ' টেরাই করিয়াও মুই নয়া কিছু করবার না পায়া বাড়ি যাইম কয়ায় উল্টা দৌড় ধরনু। একনা যাইতে পড়নু বান্ধের সামনোত। সেই বান্ধ আর পার হবার পাইতোছি না।
 

ভুস করি কোটে হাতেবা ব্যারে আসিল "টেলিটক"। আসিয়ায় কইল, “বাধঁ ভেঙে দাও।” কানোত কম শোনা রবি শুনিল, “দাঁত ভেঙে দাও।” আর শুনিয়ায় এখান আড়াই কেজি ঘুসি মারি টেলিটকের নাক ফাটে দিল।


ওমার ডাংগাডাংগি দেখি মুই ফির দৌড় ধরনু। দৌড়াইতে দৌড়াইতে বাড়িত আসি দেখোং সউগায় নিন গেইছে। ঘাটা দুয়ার সউগ বন্দ দেখি মোর মন বেজার ! ভুস করি কোটে হাতেবা "বাংলা লিংক" আসি কইল, “আপনার ফিরে আসার মুল্য আর কেউ না বুঝলেও আমরা বুঝি।” কয়া মোক ওমার ‘খরিদদার খাতির’ (Customer Care Centre) দোকানোত নিয়া গেইল। অটে কায় যেন জোরে মোর নাম ধরি ডাকাইল। ডাক শুনিয়া ভাঙ্গিল মোর ঘুম, শ্যাষ হইল মোর এ্যাডভেটাইজ স্বপ্ন!


এগলের জালাতে মুই আর বাচোনা বাহে। কন তো এলা কি করো?

FROM SYLHET WITH LOVE.
(সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায়)

II চাইনিজ প্রোডাক্ট, বেশি দিন টিকত না II


এখ চায়নিজ ফুয়ার লগে এখ সিলেটি ফুরির প্রেম অইছে। কিন্তু সিলেটি ফুরির বাফ (বাবা) বিয়াত রাজি ঐরানা। ফুরির মা রাজি ঐছৈন। ফুরির বাপে জানতো বেটিনতর লগে কুনতাত মাতিআ ফারা যায় না, তো বেচারা বাপ ফুরির বিয়াত না ফারিয়া রাজি ঐছিল।

বিয়ার ১ বছর বাদে তারার ঘর এক ফুয়া ঐছে। কিন্তু ৬ মাসর সময় ফুয়া ইগু মরি গেছে। ইকান হুনিয়া সিলেটি ফুরির বাফে কইলা,

"আমি আগে উ কইছিলাম চাইনিজ প্রোডাক্ট, বেশি দিন টিকত না।"

FROM MYMENSINGH WITH LOVE.
(ময়মনসিংহ-এর আঞ্চলিক ভাষায়)

II শুক্কুরবাইরা ছেমাছবিঃ চোদুরি সাহেপ (চৌধুরী সাহেব) II

- চোদুরি সাহেপ আম্নের দিন শেষ (ঠাস ঠাস ঠাস)


চোদুরি সাহেপ অইলো গুলাম মুস্তুফা। হে ষড়যন্ত্র কইরা হের ছুডুবাই আনুয়ার হুসেনরে পাবনা পালগা গারদে (পাবনা মানসিক হাসপাতাল) পাডায়া দিসিন। যাতে বাপ দাদার সম্পত্তি হে একলা একলা খাইবার পায়। ২০ বছর বাদে আনুয়ার হুসেন আর হের বউ (কি বেন নামডা !!) আইসে পতিশুধ (প্রতিশোধ) নিতো।

আনোয়ার হুসেন চোদুরি সাহেপের গালো থাব্রা মারসে। আর কইতাসে,
-দে ফিরায়া দে।

চোধুরি সাহেপ ঝিলিক মাইরা উঠসে,
:ওমায়া !! কি দেম তরে?

- দে আমার ২০টা বছর ফিরায়া দে।

: চোদুরি সাহেপ মনে মনে কয়, (হ নেগা পাইলে। তবু সম্পত চাইছ না)।

-দে আমার আরায়া যাওয়া যৌবন।

: হ নেগা। সম্পত চাইছ না।

- দে আমার আরায়া যাওয়া সংসার। ফিরত দে।

: আমার ডা নেগা। আমার আরো দুইডা আছে।

- দে আমার ভাগের সম্পত্তি। দে।

: কাম হারা গেসে (কাম সেরেছে)। এইডা কি কইলি তুই !!

- দে দে দে।


বাদে (পরে) গোলাম মুস্তফা পুংডানামি কইরা, এক বুদ্ধি বাও হরছে। হে আনোয়ার হোসেনরে বাইল কতা দেয়া ডাইল খাওয়ায়া দিছে। গোলাম মোস্তফার বদমাইশ ছেরা মিশা সওদাগরের লগে আনোয়ার হোসেনের সুন্দুরী ছেরি শাবনূরের বেয়া দেওনের লাইগ্যা বিরাট জুরাজুরি করতাছে। শাবনুর অইলো চালাক, হে হিইরাবার রিয়াজের পেমিকা।


রিয়াজ কুনহানতে মেন এই কতা হুনছে, হুইন্না হে মিশা সওদাগররে ডাক দেয়া কয়,
-মিশা হালার ঘরে হালা, তর জিবরাডা অত বড় কে রে, মাইনষের পেমিকার প্রতি অতো লোভ কেরে তর।

বাদে (পরে) আনুয়ারের ছেরা চাকিব খান বাইরইছে। জসীম বেডার মেলা কাম। হের বাইর হওনের সময় নাই। মিশা, চাকিব খান আর রিয়াজ লাগজে জাতাজাতি, হেইডা দেইখ্যা আনোয়ার হোসেন ডরে হাটটটটফিল করছে।

শাবনুর কয়,
-কই আব্বা গো! দম গেছে গা দু আব্বার।

বেহের লাস্টে, পুলিশ আইছে। আইয়া কয়,
-আইন নিজের হাতে তুইলা নেইন না যে ... এরেসটিম (এরেস্ট হিম)।

বাদে এডভাডাইজ আরম্ভ অয়া গেছে।